Posts

Showing posts from September, 2017

নামহীন-শিরোনামহীন

নামহীন-শিরোনামহীন। =============== আমার ওয়েবসাইটের এ পাতাটি শুধু আপনার, এতে থাকছে আপনারই লেখা আধুনিক কবিতাগুলো। আশ্চর্য হচ্ছেন ? ভাবছেন কীভাবে লিখবেন? ভাবছেন ছন্দইতো আসেনা, লিখবেন কীভাবে? দরকার নেই ছন্দের, গদ্য কবিতা লিখুন। মনের সব ভাবনাগুলো বিরামহীন লিখে ফেলুন। এবার দেখুন কোথায় কোথায় থামলে ভাল লাগে, সেখানেই প্রয়োজনমত বিরাম চিহ্ন বসিয়ে দিন। তারপর ছোট ছোট লাইনগুলো নিচে নিচে সাজান, দেখুন নিশ্চয়ই কবিতার মতই লাগছে। তাইনা ? ভাবছেন কী লিখবেন ? ভোরের আকাশ নিয়ে লিখুন, শুনশান নিরবতা নিয়ে লিখুন। নির্মল বায়ু, সবুজ মাঠ, নদীর ঢেউ নিয়ে লিখুন। বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দ, পাখীর কলতান নিয়ে লিখুন। রাতের স্তব্ধতা নিয়ে লিখুন। পাহাড়, পর্বত আর সমুদ্র নিয়ে লিখুন।সত্য, ন্যায় আর ভাল নিয়ে লিখুন।প্রকৃতি নিয়ে লিখুন, হৃদয় নিয়ে লিখুন। জীবন নিয়ে লিখুন, জীবনের কালগুলো নিয়ে লিখুন। ভাবছেন পারবেন কিনা? আসলেইতো পারবেন কীভাবে? এখনও শুরুইতো করেননি।আচ্ছা শুরু না হয় করলাম, কিন্ত……… যদি ভুল হয় ? হোকনা তাতে কী ? জানেন?ভুল করেনা যে, আসলে কিছুই করেনা সে । আচ্ছা লিখলাম যদি ভাল না হয় ? কেউ

বহুরুপী মানবতা

Image
বহুরুপী মানবতা --এ এস এম কামাল উদ্দিন । ====================== মানবতার এখন রং অনেক, রুপও রয়েছে অনেক, সারা দুনিয়ায় মানবতার রুপ এক,নাফের ওপারে আরেক। মানবতা এখন ক্ষুদার্ত হয়ে জলে ডুবে মরছে, মানবতা এখন খাবার প্যাকেটে আকাশেতে উড়ছে । মানবতা রক্ষায় দুনিয়া ব্যাপী আলোচনা চলছে যত, ওখানে মানবতা টুকরা হচ্ছে কোরবানীর পশুরই মত। মানবতা রক্ষায় সারা দুনিয়া করছে ফিকির ফন্দি, নাফের ওপারে বিবস্ত্র মানবতা গাছে রয়েছে বন্ধী । মানবতা রক্ষায় সোচ্চার কেউ, কেউবা করছে ঢং, নাফের ওপারে মানবতার রক্ত যেন হলি খেলার রং। মানবতা রক্ষার আলোচনা যখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে, নাফের ওপারে তখন ছুরি চলে মানবতারই বক্ষে । মানবের চোখে মানবতার অশ্রু, মানবীর চোখেও জল, মানবতার কোন রুপটি আসল, কোনটিইবা ছল। কেউ করে মানবতার ফান,কেউবা চিবায় মানবতার পান, বহুরুপী এ মানবতার এখন প্রায় ওষ্টাগত প্রাণ । আরও ইভেন্ট দেখতে ক্লিক করুন আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন

সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির ইহকাল-পরকাল

Image
সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি’র ইহকাল-পরকাল বাংলাদেশে বর্তমানে যে সকল বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মরত আছেন তাঁদের কেউই সম্ভবত বর্তমানের সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়া লেখা করেননি ।শুধু ক্যাডার সার্ভিস কেন সম্ভবত গত বছর এমনকি চলতি বছরের এখন পর্যন্ত যাঁরা শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যাংকার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি, বা সমপর্যায়ের যে সকল কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁরাও প্রায় সকলেই বর্তমানের কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়া লেখা করে আসেননি ।বর্তমানে আমাদের দেশে যে সকল বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ আছেন তাঁরা কেউই বর্তমানের কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়া লেখা করে আসেননি । যতদূর জানি এখন পর্যন্ত ৩৫ তম বিসিএস এর নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে । সে হিসেবে ৩৫ তম বিসিএস ক্যাডার বা নন ক্যাডার অথবা সমপর্যায়ের অন্য কোন বেসরকারি চাকুরিতে প্রথম চান্সেই যিঁনি কোয়ালিফাই করেছেন সাধারন হিসাব অনুযায়ী তিঁনি ২০১০ এর আগেই এস এস সি বা সমমান পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন ।আর ২০১০ সালে মাধ্যমিকে প্রথম বাংলা ও ধর্মশিক্ষায় ‘ সৃজনশীল পদ্ধতিতে   পরীক্ষা   নেয়া  

উদীয়মান কবি জাফর আহমেদ এর কবিতা- উজান মেয়ে

Image
উজান মেয়ে ----- জাফর আহমদ---- """"""""""""""""""""""""'""""''''"" ছিপছিপে গা খাঁ খাঁ শরীর বানতালাশ্যা নদী পা ছড়ানো উজান মেয়ের গা পুড়ে যায় যদি । গা পুড়ে যায় উজান মেয়ের এত্ত কঠিন জ্বর শাপলা লতার প্যাঁচ দিয়ে কে আটকালো তার ঘর ? আটচালা ঘর খুলবেরে কে ঘন্টা বাজে দুরে ঘন্টা বাজে বুক চাতালে ঢেউ ছলোছল সুরে । ঢেউ এর পরে ঢেউ চলে যায় ভাঙ্গে নদীর কুল বুকের ভেতর মন ছিলনা এইটুকুনই ভুল । ভুলের মাসুল আসল সহ কে শোধিবে ঋণ উজান মেয়ের যায়না ভালো দিনগুলি রঙিন । ভাসায় নদী হারায় নদী দিক ভুলে যায় চাঁদ জল পতনের শব্দ তুলে হয় নদী উন্মাদ । মত্ত নদী নেয় ভাসিয়ে উজান মেয়ের সুখ হায়রে নদী ক্যামনে হলি এমন সর্বভুক ?????? কবি জাফর আহমেদ সম্পর্কে আরও জানতে ছবিতে ক্লিক করুন আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন আরও ইভেন্ট দে

উদীয়মান কবি জাফর আহমেদ এর কবিতা- ওগো পরোয়ার

Image
ও গো পরোয়ার -------   জাফর আহমদ----------- """"""""""""""""""""""""""""""""""" ও গো পরোয়ার সইতে পারিনা আর কান্নার রোল শুধু নিরবধি , কেউ নেই রাহাবার বিরুদ্ধে দাঁড়াবার এভাবেই শেষ হয়ে যাই যদি ? পুড়েছে বসতভাটি ছেড়েছি নিজের মাটি শুষে নিবে ওরা আর কত রক্ত ? কত আর লাশ হলে দিন রাত মাস গেলে উড়ে যাবে জালিমের তখত ? মেয়েটা লাজুক ছিলো জানিনাতো কি যে হলো ভেসে এলো নির্মম চিৎকার , তারপরে উল্লাস পড়েছিলো কাটা লাশ থেমে গেছে জালিমের শিৎকার । ছেলে বাবা মা ' ও গেলো বুক চোষা ধন গেলো বেঁচে আছি মুনাজাত তুলতে , তবু হোক নিস্তার জুলুমের বিস্তার তুমি যদি থাকো পারি সব ভুলতে । নেই আর কোলাহল রক্তের নোনাজল সাগরের স্রোতে যায় মেশে , রক্তের কথা লিখে   আকাশের রঙও ফিকে মুক্তির ঠিকানাটা পাবো কিনা শেষে ? কত

আমার শিশু-আমাদের সম্পদ

Image
একটি শিশু পৃথিবীতে আসে অনেক  অনন্ত সুপ্ত সম্ভাবনা নিয়ে ।ব্যতিক্রম বাদ দিলে ভুমিষ্ট হওয়ার পর চোখ মেলে যখন পৃথিবীকে দেখা শুরু করে তখন থেকেই তার প্রতিভা বিকাশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ।ধীরে ধীরে তার মধ্যে অনুভূতি প্রবল হতে থাকে ।অন্যদের কাজক র্ম বা চালচলন দেখে অনুকরন করা শুরু করে।একদিন শিশু স্বাভাবিক শোয়া থেকে উপুড় হয় যা তার বসতে পারার আগ্রহ বা অনুভুতির প্রথম প্রচেষ্টা । একদিন শিশু নিজ থেকে বসতে পারে যা তার দাঁড়াতে পারার আগ্রহের পূ র্ব প্রচেষ্টা। একদিন শিশু নিজ থেকে দাঁড়াতে পারে যা তার হাঁটতে পারার আগ্রহেরই প্রচেষ্টা ।একদিন শিশু নিজ থেকে হাঁটতে পারে যা তার দৌড়াতে পারার আগ্রহের আরেক প্রচেষ্টা ।এভাবে একটি শিশু তার নিজের প্রচেষ্টা আর মা বাবা ও পরিবারের অপরাপর সদস্যদের অনুপ্রেরনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সে তার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। কিন্তু সে তার অপার সম্ভাবনার সঠিক ব্যবহার করতে পারবে কিনা তা অনেকাংশে নির্ভর করে তার পরিবারের পরিবেশ ও পরিবারের সদস্যগণরে মানষিকতার ওপর। পরিবারের ইতিবাচক পরিবেশ যদি সে পায় তাহলে সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। আর যদি নেতিবাচক পরিবেশ পায় তাহলে তার মে

অনিয়মের স্বর্গে নিয়মের নরকবাস

Image
‘‘বিবেক বাবু মারা গেছে সত্য বাবুর গায়ে জ্বর, নীতি বাবু দেশ ছেড়েছে বিবিসি’র খবর । উচিত বাবুর কানে তালা জুলুম বাবুর বেজায় জোর, শান্তি বাবু অশান্তিতে হবেনা আর হয়তো ভোর ।’’ উপরের কথাগুলো কে লিখেছেন জানিনা । জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কোন আইডিতে আমি পড়েছি বলে মনে পড়ছে । চাকুরির সুবাদে মাঝে মধ্যে শিক্ষকতার বাইরেও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়।সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উপরে উল্লেখিত কবিতার কথাগুলো আমার বার বার মনে পড়েছে ।এটা ছিল এক ভিন্ন কিসিমের নতুন অভিজ্ঞতা । সত্য-মিথ্যা, নিয়ম-অনিয়ম, বিবেকবান-বিবেকহীন, শান্তি-অশান্তি, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, ভাল-মন্দ, নিরপেক্ষতা-পক্ষপাতিত্ব, গণতন্ত্র-স্বৈরতন্ত্র ইত্যাদি শব্দের সংজ্ঞা যেভাবে পড়েছি আর প্রাকটিস করেছি জীবনের এ পর্য়ায়ে এসে শব্দগুলিকে বড় অচেনা, বড় অপিরিচিত, বড় ওলট পালট, বড় বেখাপ্পা এমনকি বড়ই বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে। প্রতিটি বিষয় বা বস্তুর সংজ্ঞা তৈরি হয় মূলত এর এক বা একাধিক আলাদা বৈশিষ্ট্য বা চরিত্রের উপর ভিত্তি করে। মানুষ এবং জানোয়ার বলতে আমরা যা বুঝি বা যে প্রাণীকে বুঝাই তা এ দুই প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বা

সরি (Sorry) এর ব্যবহার ও অপব্যবহার

Image
ইংরেজি Sorry শব্দটির বহূল ব্যববহার লক্ষনীয় ।আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানা ক্ষেত্রে এ Sorry শব্দটি অনায়াশে ব্যবহার করি। Sorry শব্দটি আমাদের কাছে অনেকটা ডাল ভাতের মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ।সাধারনত ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কোন ভুল বা অন্যায় করলে অথবা আমাদের আচরনে কেউ মনে কষ্ট পেলে আমরা সাধারনত Sorry শব্দটি দিয়েই সবকিছু মালিশ করে দিই।ছোট, মাঝারি, বড় যে কোন ধরনের ভুল, অন্যায় বা ত্রুটির জন্য Sorry শব্দটিকে আমরা উৎকৃষ্টমানের অস্ত্র বা নিকৃষ্টমানের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করি। দৈনন্দিন জীবনে এ Sorry শব্দটি দিয়ে আমরা আমাদের হাজার রকমের অপরাধ, অপকর্ম, ভুল ত্রুটি নিমিষেই জায়েজ করে নিতে পারি । Sorry শব্দটি উচ্চারনগত দিক থেকে সহজ হওয়ায় শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকলেই এ শব্দটি ব্যবহার করে যে যার মত পার পেতে চেষ্টা করি এবং পেয়েও যাই । Sorry শব্দটি ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন ঘটনার উল্লেখ নাই যে শুধু ওসব ঘটনা ঘটলে ব্যবহার করা যাবে। এর ব্যবহারের জন্য কোন দিন ক্ষন নেই যে শুধু ঐ দিন বা ঐ সময় এটি ব্যবহার করা যাবে ।এটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির কথা বলা নেই যে শুধু ঐসকল ব্যক্তি বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে এগুলি ব