সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির ইহকাল-পরকাল

সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি’র ইহকাল-পরকাল

বাংলাদেশে বর্তমানে যে সকল বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা কর্মরত আছেন তাঁদের কেউই সম্ভবত বর্তমানের সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়া লেখা করেননি ।শুধু ক্যাডার সার্ভিস কেন সম্ভবত গত বছর এমনকি চলতি বছরের এখন পর্যন্ত যাঁরা শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যাংকার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবি, বা সমপর্যায়ের যে সকল কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁরাও প্রায় সকলেই বর্তমানের কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়া লেখা করে আসেননি ।বর্তমানে আমাদের দেশে যে সকল বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ আছেন তাঁরা কেউই বর্তমানের কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়া লেখা করে আসেননি ।

যতদূর জানি এখন পর্যন্ত ৩৫ তম বিসিএস এর নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে । সে হিসেবে ৩৫ তম বিসিএস ক্যাডার বা নন ক্যাডার অথবা সমপর্যায়ের অন্য কোন বেসরকারি চাকুরিতে প্রথম চান্সেই যিঁনি কোয়ালিফাই করেছেন সাধারন হিসাব অনুযায়ী তিঁনি ২০১০ এর আগেই এস এস সি বা সমমান পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন ।আর ২০১০ সালে মাধ্যমিকে প্রথম বাংলা ধর্মশিক্ষায়সৃজনশীল পদ্ধতিতে  পরীক্ষা  নেয়া  শুরু হয় পরের বছর গুলোতে ধীরে ধীরে  প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক    উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পর্যায়ক্রমে সকল বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়সে হিসেবে বলা যায় ৩৫ তম বিসিএস এ যাঁরা অংশগ্রহন করেছেন তাঁরা প্রায় সকলেই সনাতন পদ্ধতিতে লেখা পড়া করেছেন ।

সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি আমদানি হয় মূলত ২০০৭ সালে ।কে আমদানি করেছেন? কেন আমদানি করেছেন? সৎ উদ্দেশ্যে করেছেন, নাকি অসৎ উদ্দেশ্যে করেছেন ? সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির কারনে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা বেড়েছে, নাকি কমেছে ? এর ফলে শিক্ষার্থীর উন্নতি হয়েছে, নাকি পরীক্ষার্থীর উন্নতি হয়েছে ?  শিক্ষিতের হার বেড়েছে, নাকি পাশের হার বেড়েছে ? এ পদ্ধতির ফলে জ্ঞানী গুণী বেড়েছে, নাকি অজ্ঞের সংখ্যা বেড়েছে ? এরকম প্রশ্নের যেমন শেষ নেই, তেমনি উত্তরেরও অভাব নেই । সৃজনশীল হওয়ার বা বানানোর জন্য গাদা গাদা গাইড বই ক্রয় আর কোচিং ও প্রাইভেট সেন্টার গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের দৌড়াদৌড়ি আর বর্তমানে শিক্ষা নামক এ পণ্যটি ক্রয়-বিক্রয়ের দৃশ্য এবং এর বিপরীতে প্রাপ্ত উপযোগিতার অসন্তুষ্টির মধ্যেই অনেক প্রশ্নের উত্তর নিহীত রয়েছে ।তাই লেখার কলেবর বৃদ্ধি না করতে ওসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ঘাঁটঘাঁটি আপাতত মূলতবী রাখলাম । 
   
মূলত শিক্ষার্থীদের মুখস্থ বিদ্যায় নিরুৎসাহিত করে সৃজনশীলতা বাড়ানো, গাইড বা নোট বই নির্ভরতা কমানো ও কোচিং দৌরাত্ন্য বন্ধের উদ্দেশ্যে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয় । কিন্তু শুনতে খারাপ লাগলেও একথা গরিষ্টজন স্বীকৃত যে, এর কোনটিই কামানো বা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি বরং বেড়েছে বহুগুণ ।বর্তমানের কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে হাসি তামাশার আলোচ্য বিষয়ে পরিনত হয়েছে ।

যে সকল শিক্ষক অনেকদিন ধরে এক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করে আসছেন, তারা অনেকেই নতুন পদ্ধতির সঙ্গে অভ্যস্ত হচ্ছেননা অথবা হতে পারছেননা ।আর হাজার লক্ষ্য উদ্দীপক বা অনুচ্ছেদ যেখানে গাইড বইতে রেডিমেড পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে সৃজনশীল হওয়ার জন্য মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট করার মত বোকামী কাজ না করার সাধারন জ্ঞানতো অন্তত একজন শিক্ষকের থাকার কথা ।তাই কষ্ট না করে অনেকে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রনয়নের জন্য সরাসরি গাইড বই অবলম্বন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ।যে কারনে শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের সৃজনশীলতা বাড়েনি বরং শিক্ষা ব্যবসায়ীদের সৃজনশীলতা বেড়েছে ।

সৃজনশীলতার মানে হলো চিন্তাকে কোন নির্দিষ্ট ফ্রেমে বা কাঠামোর মধ্যে বন্ধী করে না রাখা । কিন্ত আমাদের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতির নাম সৃজনশীল হলেও পরীক্ষা দিতে হয় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতিতে । যে উদ্দীপকের বিপরীতে প্রশ্ন করা হয় সে প্রশ্নগুলি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট হয় কিনা সেটা নিয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিস্তর বিতর্ক করা সম্ভব ।এরকম অবস্থায় পরীক্ষার জন্য বরাদ্দকৃত সময়ের স্বল্পতার মধ্যে পরীক্ষার্থী প্রশ্নের বিপরীতে উত্তরের কীওয়ার্ড(Keyword)আবিস্কার করতে প্রশ্ন-উদ্দীপক, উদ্দীপক-প্রশ্ন এরকম করতে করতে তার দৃষ্টি ও চিন্তা একটি কাঠামোর মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে পড়ে । ফলে সাধারন ও কম মেধার শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই আবোল তাবোল লিখে তার সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় ।আর উদ্দীপক-প্রশ্নের সমন্বয় থাকলে শুধুমাত্র মেধাবী শিক্ষার্থীই কিছুটা সঠিক উত্তর লিখতে পারে ।

বর্তমান কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির প্রধান কয়েকটি অন্তরায় হলো-শিক্ষাবর্ষের সময়ের তুলনায় সিলেবাসের ব্যাপকতা, সাবজেক্টের আধিক্য, ক্ষেত্র বিশেষে প্রশ্নকর্তার অতি পান্ডিত্যপনা, সৃজনশীল বইয়ের অভাব, গাইড বই ও কেচিংয়ের অবাধ বাণিজ্য, সৃজনশীল পাঠদান পদ্ধতির অভাব, অবাধ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা ইত্যাদি ।সৃজনশীল শিক্ষার মত এমন একটি পদ্ধতি চালুর পূর্বে সার্বিকভাবে আমাদের যে প্রস্ততি থাকার প্রয়োজন ছিল তা মোটেই ছিলনা । যে কারনে এ পদ্ধতিটি অনেকটা শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি অভিভাবকদেরও বধহজমে পরিনত হয়েছে ।

কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে এ পদ্ধতিতে কী শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখছেনা ? উত্তর হলো অবশ্যই শিখছে, তবে অতি নগন্য সংখ্যক ।বলতে পারেন এরা কারা ? সহজ সরল ভাষায় এর উত্তর হলো অল্প সংখ্যক মেধাবী ও সচেতন শিক্ষার্থী যাদের অভিভাবকগন মোটামুটি শিক্ষিত ও সচেতন, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তারাই কিছু শিখছে এবং মোটামুটি সত্যিকারের ভাল ফলাফল করছে ।আর ভাল ফল অর্জনকারী হৃত দরিদ্র মেধাবী যাদের কথা আমরা পত্র পত্রিকায় দেখি এরা অতি নগন্য সংখ্যক তাও অধিকাংশই কারও দয়া বা দাক্ষিন্যের কারনেই পারছে ।আর যারা করতে পারছে তাদের কাছে এ পদ্ধতি আর ও পদ্ধতি কোন ব্যাপার নয়, তারা যেকোন পদ্ধতিতেই পারার মত মেধাবী । আর বাস্তব চিত্র হলো সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র, নিম্ন বিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারন ছেলে মেয়রা ।

সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার যেমন শেষ নেই, তেমনি সমালোচনারও শেষ নেই ।লেখার শুরুতেই যাঁদের কথা বলছিলাম তাঁরাতো সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে লেখা পড়া করেননি, তাহলে তাঁদের মধ্যে কী সৃজনশীলতার অভাব আছে বা ছিল ? প্রকৃত সত্য হলো- সনাতন পদ্ধতিতে শিক্ষায় শিক্ষিত এসব মানুষের অধিকাংশেরই চিন্তার জগত এখনও আকাশের মতই সীমাহীন, সৃষ্টিশীলতার ভিত্তি এখনও পর্বতের মতই সুদৃঢ়, ভাষাজ্ঞান এখনও সমুদ্রের মতই গভীর, কথোপকতন এখনও সুধারসে পূর্ন, ভদ্রতা এখনও প্রকৃতির মতই সুন্দর আর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিংহের মতই সাহসী ।

ঢাক ঢোল পিটিয়ে চারদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়াজ তুলে দশ বছর আগে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল ।আজ দশ বছর পর এ ব্যবস্থার ফলাফল মূল্যায়ন করলে এসত্যই বের হয়ে আসবে যে, কথিত এ সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষায় শিক্ষিত এসব মানুষের অধিকাংশেরই চিন্তার জগত উদ্দীপক-প্রশ্ন-উদ্দীপক এর মধ্যে সীমিত হয়েছে, সৃষ্টিশীলতার ভিত্তি কচু পাতার উপর পানির মতই নড়বড়ে হয়েছে যা প্রায় পঁচানব্বই ভাগ পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখলে প্রমাণ মিলে যাবে । ভাষাজ্ঞানের গভীরতা আর কথোপকতনের রসবোধ কোথায় পৌঁছেছে তার বড় প্রমাণতো রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটসে আর কমেন্ট বক্সের লেখায় । বাদবাকী বিষয় নিয়ে আলোচনা আপাতত আজকের মত স্থগিত থাকুক ।

দশ/এগার বছর আগে যে শিক্ষার্থী নবম শ্রেনি বা সমমানের ক্লাসে ছিল এখন তার শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার বা শেষ প্রান্তে থাকার কথা । তাই সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির অধীনে শিক্ষাগ্রহনকারীদের কর্মজীবনে আসার সময় হয়েছে । এখন দেখার সময়ও আসছে যে, আসলে কারা এবং কত পার্সেন্ট প্রকৃত সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে ।সৃজনশীল শিক্ষা জীবন নামক ইহকালের অর্জন দ্বারা কর্মজীবন নামক পরকালের কী ফল প্রাপ্তি হয় তা দেখার সময় আর বেশি দূরে নয় ।

একটি গল্প দিয়ে শেষ করতে চাই ।এক ভদ্রলোকের জন্য তাঁর এক আত্নীয় বিদেশ থেকে গিফট হিসেবে একটা পাঞ্জাবীর কাপড় পাঠিয়েছেন ।ভদ্রলোক কাপড়টি টেইলারকে দিয়ে বললেন মেপে দেখুনতো আমার গায়ের পাঞ্জাবী হবে কিনা? টেইলার মেপে বললেন হ্যাঁ হবে ।ভদ্রলোক অর্ডার দিয়ে রওয়ানা হলেন কিন্ত কিছুদূর গিয়ে থেমে গেলেন এবং সন্দেহ করলেন যে তার ওখানে নিশ্চয়ই এক পাঞ্জাবীর চেয়ে বেশি কাপড় আছে, তা না হলে টেইলার এত তাড়াতাড়ি কেন হ্যাঁ বললেন ।তিনি দোকানে ফিরে এসে টেইলারকে জিজ্ঞেস করলেন- ভাই আমার মেঝো ছেলেটার বয়স সাত বছর, তার জন্যও কী একটা পাঞ্জাবী হবে ? টেইলার উত্তর দিলেন হ্যাঁ হবে ।ভদ্রলোক মেঝো ছেলের পাঞ্জাবীর অর্ডার দিয়ে আবারও সন্দেহ করলেন যে তার ওখানে নিশ্চয়ই দুই পাঞ্জাবীর চেয়েও বেশি কাপড় আছে, তা না হলে টেইলার এত সহজে কেন হ্যাঁ বলছেন । আবারও তিনি টেইলারকে জিজ্ঞেস করলেন - ভাই আমার ছোট ছেলেটার বয়স মাত্র তিন বছর, তার জন্যও কী একটা পাঞ্জাবী হবে ? টেইলার উত্তর দিলেন হ্যাঁ হবে । ভদ্রলোকের সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে গেলে তিনি টেইলারকে বললেন- আমাদের তিনজনের জন্য তিনটা টুপিওতো নিশ্চয়ই হবে তাইনা ? টেইলার একই কায়দায় উত্তর দিলেন হ্যাঁ হবে ।যেহেতু ভদ্রলোকের আর কোন ছেলে নেই তাই মনের মধ্যে কষ্ট এবং আরও গভীর সন্দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ।ডেলিভারীর দিন টেইলার ভদ্রলোককে তিনটি পাঞ্জাবী ও তিনটি টুপি একটি প্যাকেটে গুনে বুঝিয়ে দিলেন । ভদ্রলোকতো মহা আনন্দে গুন গুনিয়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ি ফিরলেন ।নিজের বুদ্ধিমত্তার গুনে লাভবান হওয়ার কথা স্ত্রীর নিকট ব্যক্ত করতে করতে প্যাকেট খুললেন ।সংখ্যায় তিনটি পাঞ্জাবী ও তিনটি টুপি পেলেন ঠিকই কিন্ত এগুলির সাইজ এতটাই ছোট ছিল যেটা কারও কোন ব্যবহারে আসেনি ।পণ্যগুলো হয়তো কারও কাজে আসেনি কিন্ত টেইলার সাহেবতো কাউকে খালি হাতে ফেরাননি ।             
সনাতন পদ্ধতিতে যাঁরা লেখাপড়া শিখে পরীক্ষা দিয়েছেন, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কৃতকার্যরা বলতেন অমুক বা তমুক ডিভিশন পেয়েছি । কিন্তু অকৃতকার্যরা কখনও বলতেননা আমি ফেল ডিভিশন পেয়েছি ।কিন্ত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি এটার ব্যতিক্রম । এখানে কৃতকার্যরা যেমন বলতে পারেন আমি অমুক বা তমুক গ্রেড পেয়েছি । তেমনি অকৃতকার্যরা বলতে পারেন আমি ‘এফ’ গ্রেড পেয়েছি । অর্থাৎ সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে কাউকে খালি হাতে ফেরানো হয়না ।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব আমিরুল  আলম খানের লেখা একটি নিবন্ধ থেকে দু’টি লাইন উদ্বৃত করে শেষ করতে চাই । তিঁনি লিখেছেন- ‘‘ সৃজনশীলের  নামে  দেশ  থেকে  লেখাপড়া  নির্বাসনে  গেছেস্কুল-কলেজ  নিষ্প্রয়োজনীয়  হয়ে  পড়েছেকোচিং  সেন্টারই  এখন  শিক্ষার মঞ্জিল মকসুদ এভাবে  এক  অশিক্ষিতঅদক্ষঅসৎবিবেকহীননির্লজ্জলোভী   আত্মপরায়ণ  ভবিষ্যৎ  প্রজন্ম  তৈরি  হচ্ছে  ‘’  
জনাব আমিরুল  আলম খানের বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, দশ বছর আগে ঢাক ঢোল পিটিয়ে চারদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়াজ তুলে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নামক যে পর্বত জাতির ঘাঁড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, দশ বছর পর সে পর্বত রুগ্ন মুসিক প্রসব করেছে । জাতিকে মেধায় বিকলাঙ্গ করার কোন সূদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য না থাকলে বর্তমানের কথিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আমাদের এখনও টনক নড়ছেনা কেন ?

Popular posts from this blog

সরি (Sorry) এর ব্যবহার ও অপব্যবহার

রোহিঙ্গা বনাম নন এমপিও শিক্ষক || প্রসঙ্গ : মানবতা ||